মোজাহের ইসলাম নাঈম
বাংলাদেশের আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই তাই শুধুমাত্র আইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সেটিকে যথাযথভাবে কাজের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে। বাংলাদেশে শিশুশ্রম বন্ধ করার জন্য সরকার শিশুশ্রম বন্ধের জন্য সরকারিভাবে ফ্রি লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এমনকি প্রথম শ্রেনী হতে এইচএসসি পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েদের উপবৃত্তি দিয়ে তাদের পড়াশুনার আর্থিক সহযোগিতাও ব্যবস্থা করেছেন।
শিশুশ্রম বন্ধের জন্য প্রতিনিয়িত আন্দোলন সংগ্রাম আর শিশুশ্রমের জন্য বিশেষ দিবস পালন করা হলেও বাস্তব অবস্থা একেবারে ভিন্ন৷
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় সবগুলো ইটভাটায় শিশু শ্রমিদের কাজ করতে দেখা গেছে। সুবর্ণচর উপজেলার চর কাজী মোখলেছ গ্রামের, চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ছিদ্দিক সুপার মার্কেট সংলগ্ন,প্যাসিফিক ব্রিকস ইট ভাটা,২নং নূরানী ও ৩নং নূরানী ইটভাটা,এবং ১নং সুইজ গেইট বাজার সংলগ্ন আল্লার দান ব্রিকস সহ প্রায় ১৮ টি ব্রিকসফিল্ডে ১০/ ১৩ বছরের ৬/৭ জন শিশুকে কাজ করতে দেখা যায। কিন্তু জীবিকার তাগিদে সেই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইট মাথায় করে বা তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করছে।তারা কেন ইট ভাটায় এসে কাজ করছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন শ্রমিক শিশু বলেন, ভক্সপপ (শিশু)
শুধু লতিফ মিয়ার ইটভাটা নয় নোয়াখালী জেলার শতশত ইটভাটায় হাসান,শাহিন ও শাকিবের মত অহরহ শিশু শ্রমিকরা খেটে চলেছে নিজেদের জীবিকার তাগিদে! একটি সুত্রে জানা গেছে, পিতামাতার সাথে এসকল শিশুদের ইট বানানোর কারিগর তৈরী করতে ইটভাটার মাঝিগণ উৎসাহিত করছে। শুধু শিশু শ্রমিক নয় সুবর্ণচর উপজেলার বেশিরভাগ ইটভাটায় অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের ফলজ,বনজ ও ঔষুধী গাছ পুড়ানোর অভিযোগ নতুন নয়। ভাটায় কয়লার ব্যবহার না করে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মণ কাঠ বা কাঠ দিয়েই চলছে ইটভাটাগুলো। সুবর্ণচর ইটভাটা গুলোতে যেমন অবৈধ কাঠ জলছে ঠিক তেমনী জ্বলছে হাজার শিশুর ভবিষৎ! শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,
ভক্সপপ (সুরাইয়া আক্তার লাকী)