মোহাম্মদ মাসুদ
দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন জেরে পরিস্থিতিতে কমবেশি সবকিছুই হচ্ছে উলোট-পালট পরিবর্তন। পর্যায়ক্রমে সমাজ রাষ্ট্রের সংস্কার রূপান্তর ঘটেছে । তবে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা আশা প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না প্রতিফল প্রতিপালনের বাস্তবায়ন। নানা ইস্যুতে হচ্ছে আলোচিত সমালোচিত রাজনৈতিক মহল দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। এসব নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘোষণায় ইতিবাচক আলোচনার সহ তীব্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে দেশজুড়ে সাধারণ জনগণ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুখে মুখে ।
রাজনৈতিক মাঠে ময়দানে অতীতে সক্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে এসব নতুন রাজনৈতিক দলের সংগঠক নীিত নির্ধারকরা। হচ্ছে নানা সমালোচনা ও গুঞ্জনের শিকার । জনগণ অধিকার আদায়ে নিশ্চিত নাগরিক সেবায় নিরাপত্তা নিশ্চয়ইতায় এসব নতুন দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। নানা ইস্যুতে পরিস্থিতিতে নানা প্রেক্ষাপটে হচ্ছে একের পর এক নতুন এক রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ। এরই প্রেক্ষাপটে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের ধারাবাহিকতায় এবার নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসছেন রফিকুল আমীন, সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম।
বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতায় গণতান্ত্রিক ধারাকে এগিয়ে নিতে আমরা নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। যা নিয়ে রাজনীতিক অঙ্গন সহ সারাদেশে আলোচিত সমালোচিত হচ্ছে সর্বস্তরের শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে। ভিন্ন রাজনৈতিক দল নেতাকর্মীদের মুখে মুখে।
ফাতিমা তাসনিম ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ভিপি নূরের গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য থেকে পদত্যাগ করেছেন। ওইদিন তিনি নিজেই পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার আগেই পদত্যাগপত্রটি ফাতিমা তাসনিম নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
তবে নতুন দলের নাম জানা না গেলেও অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলা হয়, অপার সম্ভাবনাময়ের দেশ-বাংলাদেশ আজ নতুন এক রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
জুলাই ২৪-এর ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানে, মহান শহিদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে, সূচনা হয়েছে নতুন রাজনৈতিক ধারা। ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন. ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মহান শহিদদের আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতায় গণতান্ত্রিক ধারাকে এগিয়ে নিতে আমরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। আত্মপ্রকাশের শুভ এই দিনে আপনার উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করছি।
ওই শুভেচ্ছা বার্তার আহ্বায়ক হিসেবে রফিকুল ইসলামের নাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে ফাতিমা তাসনিমের নাম আছে।
এদিকে পদত্যাগের পর ফাতিমা তাসনিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানীর শেরাটন হোটেলে সকাল ১০টায় আমি নিজেই একটি দলের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছি। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন এবং মানুষের অধিকার যেন আপামর জনগণ প্রত্যেকের কাছে যেন পৌঁছে দিতে পারি এটিই হবে আমার নতুন রাজনৈতিক দলের প্রত্যয়, আমাদের মিশন ও ভিশন।’
উল্লেখ্য:
তবে সাধারণ জনগণ চাই। নতুন পুরাতন রাজনৈতিক দল ক্ষমতা সংখ্যা আধিক্য নয়। আধিপত্য কর্তৃত্ব রাজত্ব নয়। নয় কোন রাজনৈতিক অপশক্তি ছত্রছায়ায় দ্বন্দ্ব প্রতিহিংসা। দেশের সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা অস্থিরতা সংকট পূর্ণতা নয়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি হোক নিরাপদ নিশ্চিত। জনগণ মানুষের অধিকার হোক শতভাগ নিশ্চিত নিরাপত্তা। সামাজিক রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় সন্তুষ্ট জনক। প্রতিটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনে বাস্তবায়ন হোক সব সময় সর্বক্ষণ। এমনটাই সাধারণ নিরীহ জনগণের চাওয়া পাওয়া স্বপ্ন কাঙ্খিত প্রত্যাশা।
ঐতিহাসিক স্বাধীনতা যুদ্ধে ৭১ এর ৩০ লক্ষ শহীদ ৩ লক্ষ মা বোনের আত্ম সম্ভ্রমের বিনিময়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা ও অধিকার। যা আজ ৫৪ বছর পরেও যা এখনো স্বপ্ন এখনোও রয়ে গেল অধরা। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে সাঈদ মুগ্ধ সহ অসংখ্য তরুণ তাদের বুকের তাজা রক্তে প্রাণ বিসর্জন কেঁদেছে কেঁদেছে সারা বিশ্ব। স্বাধীনতা অধিকার দাবিতে প্রাণ বিসর্জন ২১ শতকে যা সারা বিশ্বে অদ্বিতীয় বিশ্ব রেকর্ড।
হাজারো তরুণ প্রাণের বিসর্জনে ছাত্র জনতার আন্দোলনে আবারোও রক্ত সাগরে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ পেতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছে ছাত্র জনতা। যাদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। নিজ স্বার্থ গোত্র অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল নয় । রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দল গঠন নয়।
এমন অপ্রত্যাশিত বাংলাদেশ আর নয়। ২৪ গণঅভ্যুতানে ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেইমানি মীরজাফরি ছাড়া কিছুই নয়। পূর্ণ স্বাধীনতায় হোক নিরীহ সাধারণ গরিব-দুঃখীর সবার সমান স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশে হোক পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও পরিপূর্ন নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় পূর্ণ স্বাধীনতা।