ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ছৈয়দুল করিম খান
গত কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রাম পটিয়ার ফুলকলি কারখানা সংলগ্ন খাল ও আশপাশের কৃষি জমিন এলাকা থেকে ভীষণ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা শহর পথে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছালে স্হানীয় দের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ০৬/০৪/২০২৫ সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম এই এলাকায় পরিদর্শনে আসেন। তারা খাল, ড্রেন ও কৃষি জমি বিভিন্ন জায়গা থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করেন। এরপর ফুলকলি কারখানার ম্যানেজার/তত্ত্বাবধায়ককে সামনে রেখে কিছু তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেগুলো লিখিতভাবে গ্রহণ করা হয়:
১. আগামীকালকের মধ্যে খালে জমে থাকা বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে।
২. ড্রেনেজে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করে জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত পানি ধুয়ে দিতে হবে।
স্যাম্পল পরীক্ষার ফলাফল আসতে প্রায় ৭ কর্মদিবস লাগবে। এরমধ্যেই একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারখানায় একটি বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট থাকলেও এর কার্যক্রম সম্পর্কে দায়িত্বপ্রাপ্তরা অস্পষ্ট। কোনো ইঞ্জিনিয়ার নেই এবং প্ল্যান্টে শুধুমাত্র প্রোডাকশন থেকে আসা পানি পরিশোধিত হয়—যার ধারণক্ষমতা ১৫০০ লিটার। মূল সমস্যা হচ্ছে ওয়েস্টেজ পানি, যা কোনো পরিশোধন ছাড়াই সরাসরি খালে ফেলা হচ্ছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, পাশে কালভার্ট নির্মাণের কারণে খাল বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে বাস্তবে দেখা গেছে, অপরিশোধিত বর্জ্য ফেলার কারণেই দুর্গন্ধ এবং পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
প্রশ্ন ওঠে, ইউনিয়ন কৃষি স্কুল এন্ড কলেজের পাশে এমন একটি বড় কারখানা অনুমোদন পাওয়াটা কতটুকু যৌক্তিক, শুরুতেই এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রতিবাদ প্রয়োজন ছিল, যা না থাকায় এখন সবাইকে এর মাশুল গুণতে হচ্ছে।
এর আগেও ফুলকলি কারখানার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ গিয়েছিল পরিবেশ অধিদপ্তরে। কিছু শর্ত আরোপ করা হলেও দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান বারবার নিয়ম ভেঙে চলে যাচ্ছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম আসার পর যখন আমরা তাদের সঙ্গে কারখানায় প্রবেশ করতে চাই, তখন আমাদের বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সকলে মিলে প্রতিবাদ করায় আমাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় এবং লিখিতভাবে প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
গত এক/দুই সপ্তাহ আগেই গণমাধ্যম কর্মী জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ছৈয়দুল করিম খান পটিয়া ফুলকলিস ম্যানেজার
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলে একাধিক প্রশ্নের পর তিনি গণমাধ্যম কর্মীকে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করেন,তিনি বলেন আপনার কাজ কি পটিয়ার ফুলকলিতে আরো বিভিন্ন কথোপকথন হয়,
জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ছৈয়দুল করিম খান প্রশ্নেই??? পটিয়ার ফুলকলির ম্যানেজার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে বলেন
**
আপনাদের ইটিপি,ধারন ক্ষমতা কতটুকু,আপনাদের কতটুকু পানি এই ইটিপি দিয়ে অপসারণ করেন, আর বাদ বাকি পানি কিভাবে অপসারণ করেন,আপনাদের বিরুদ্ধে কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ তাদের আপত্তি আছে,স্থানীয় জনসাধারণের আপত্তি আছে কিনা,খাল -বিলের মাছ চাষ ব্যাহত হচ্ছে,আপনাদের এই ময়লা পানি পড়ার কারণে কৃষি অধিদপ্তর থেকে আপত্তি পত্র আছে কিনা, কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় গভর্নিং বডি আপনাদেরকে কোন অন আপত্তি পত্র দিয়েছে কিনা,স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক আপনাদের কোন অনাপত্তি পত্র আছে কিনা, আপনাদের এই ফ্যাক্টরিটা,
পরিবেশ অধিদপ্তর আপনাদেরকে যেই শর্তগুলো দিয়ে এটার অনুমোদন দিয়েছে সে অনুমোদিত সত্যগুলো প্রতিপালন করতেছেন কিনা
নিউজ এর সাপেক্ষে এই তথ্যগুলো আমাদেরকে দিয়ে সহযোগিতা করবেন
এসব প্রশ্নই উত্তেজনা হয়ে উঠেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ফুলকলির ম্যানেজার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন
নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে গোপনে চলাফেরা করছেন ও কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছেন